হাজারো অনলাইন শপিং সাইটের ভীড়ে কোন সাইটটি থেকে আপনি শপিং করলে ঠকবেন না এটা অনেক বড় প্রশ্ন। অনলাইন শপিং সাইটগুলির প্রতি ইদানীং মানুষের আগ্রহ বাড়ছে। দিন শেষে ব্যস্ত সময় পাড় করার পর শপিং মলে গিয়ে ঘুরে ঘুরে জিনিস কেনার আগ্রহ অনেকেই হারিয়ে ফেলেন। তাই অনলাইন শপিং সাইটগুলি তাদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। অনলাইন শপিং এর অবশ্য বেশ কিছু সুবিধাও আছে, এতে সময় নষ্ট হয়না আবার অনেকগুলি পণ্যের মধ্যে তুলনা করে আপনি আপনার পছন্দের পন্যটি বেছে নিতে পারছেন।
তবে প্রশ্ন যেখানে বিশ্বস্ততার সেখানে কিছু জিনিস অবশ্যই মনে রাখতে হবে। অনলাইন শপিং করে যেন আপনি না ঠকেন তার জন্য শপিং করার শুরু থেকে পন্যটি হাতে পাওয়া পর্যন্ত কয়েকটি বিষয়ে আপনাকে নজর দিতে হবে।
যারা Online Shopping করতে আগ্রহী তাদের সাহায্য হতে পারে এমন কিছু টিপস নিচে দেওয়া হল-
১। প্রথমেই যে কাজটি করতে হবে তা হচ্ছে, আপনি কোন সাইট থেকে শপিং করছেন তা দেখে নিন। সাইটটি ই-কমার্স এসোসিয়েশনের অন্তর্ভুক্ত কিনা যাচাই করে নিন। এছাড়া সাইটটির জন্য যে ফ্যানপেইজ আছে সেখানে কাস্টমারদের প্রতিক্রিয়া দেখে নিন। তাহলে আপনি শপিং সাইটটি সম্পর্কে কিছুটা ধারনা পেয়ে যাবেন।
২। আপনি যে পন্যটি কিনবেন অবশ্যই সেই পন্যটির লিঙ্কটি সেভ করে রাখুন। এরপর অন্য শপিং সাইটগুলির সাথে মিলিয়ে দেখুন পন্যের দাম কাছাকাছি আছে কিনা। অনেক শপিং সাইট আছে যারা পণ্যের দাম অনেক বেশি রেখে ক্রেতাদের ঠকাচ্ছে। তাই পন্য অর্ডার করার আগে দাম যাচাই করে নিন।
৩। যে সাইটটি থেকে আপনি শপিং করবেন দেখে নিন শপিং সাইটটির যোগাযোগের কোন ঠিকানা বা মোবাইল নাম্বার দেয়া আছে কিনা। এছাড়া পেইজে ক্রেতাদের কমেন্টগুলো পড়েও আপনি তাদের সার্ভিস সম্পর্কে ধারনা পাবেন।
৪। যেকোন লোভনীয় অফার দেখে ঝুঁকে না পরে আপনি পন্যটি সম্পর্কে বা শপিং সাইটটি সম্পর্কে ভালভাবে জেনে নিন।
৫। যদি আপনি কার্ডে পেমেন্ট করতে চান তবে অবশ্যই পেমেন্ট করার পুর্বে ব্রাউজারে “লক” অপশন আছে কিনা দেখে নিন।
৬। অর্ডার সব সময় পার্সোনাল কম্পিউটার থেকে অর্ডার করুন। কখনো বাইরের কম্পিউটার থেকে করবেন না। কম্পিউটার না থাকলে নিজের ফোন থেকেই অর্ডার করুন।
৭। আপনি যে কম্পিউটার বা ফোন থেকে অর্ডার করছেন অবশ্যই তাতে অ্যান্টি ভাইরাস ডাউনলোড দিয়ে রাখুন, এবং অবশ্যই আপনার পিসির সিকিউরিটি প্রোগ্রামটি আপডেট রাখুন।
৮। আপনি পন্য ক্যাশ অন ডেলিভারিতে নেয়ার চেষ্টা করুন। অথবা কার্ডের মাধ্যমে নিলে দাম পরিশোধের জন্য যে এসএমএসটি আসবে তা সংরক্ষন করুন।
৯। অর্ডার করার পুর্বে অবশ্যই জেনে নিন আপনার পন্যটি হাতে পাওয়ার পর কোন ত্রুটি পেলে তা পরিবর্তনের ব্যবস্থা আছে কিনা। ব্যবস্থা থাকলেই আপনি অর্ডার করুন।
১০। আপনার ব্যবহৃত পণ্যটিতে কোন সমস্যা হলে তা সার্ভিসিং এর জন্য কোন সার্ভিস সেন্টার আছে কিনা সে সম্পর্কে খোঁজ খবর নিন।
মানুষের চাহিদার সাথে পন্য কেনার জন্য জায়গা বাড়ছে। তার সাথে বাড়ছে ঠকার ঝুকি। তাই ঝুঁকি এড়াতে পন্য কেনার আগে থেকে শুরু করে পন্য হাতে পাওয়া পর্যন্ত কয়েকটি বিষয় খেয়াল করলে আর পন্য কিনে ঠকতে হবে না।